অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৪ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শনিবার (২২ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে আরও এক ফিলিস্তিনির।
ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের এক মুখপাত্র জানান, মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী নাবলুস শহরে প্রবেশ করার পর, ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নাবলুসে তিনজন নিহত ও অন্তত ১৯ জন আহত হন। এ ছাড়া তাদের গুলিতে একজন বেসামরিক লোকও নিহত হন।
রামাল্লায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথাও জানায় তারা। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে যে তাদের সদস্যরা শুধু নাবলুসে কাজ করছে। তবে ঘটনার বিশদ বিবরণ দেয়নি তারা।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নাবলুসে ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য জরুরিভিত্তিতে যোগাযোগ করছেন’।
পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা বেড়েই চলছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালে। ফিলিস্তিনের হামলাকারীরা কয়েক বছর ধরে পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে একাধিক ছুরিকাঘাত, গুলি এবং গাড়ি-ঘোড়া নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে একাধিক গুপ্ত হামলায় প্রাণ যায় ১৯ ইসরায়েলি সেনার। এরপরই ইসরায়েলি বাহিনীর বেড়ে যায় ধরপাকড়।
তেল আবিবের আগ্রাসনে চলতি বছর মৃত্যু হয় ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির। নিহতদের তালিকায় রয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর বন্দুকধারী, কিশোর ও যুবক যারা কথিত পাথর বা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পরে গুলিবিদ্ধ হয়। নিরস্ত্র বেসামরিক লোক, পথচারী, বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি বসতিবিরোধী কর্মীরা। ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর ছুরি হামলা বা অন্য অস্ত্র নিয়ে সন্দেহভাজন হামলাকারী ব্যক্তিরাও রয়েছেন এ তালিকায়।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়। সূত্র: আল-জাজিরা
Leave a Reply